অনেকেরই হয়তবা MS/PhD শেষ কিংবা শেষের পথে, এখন হয়ত একটা চাকুরী খুঁজছেন। তাদের জন্যে Job hunting নিয়ে চার পর্বের আয়োজন। প্রথম পর্বে আমরা বলবো "আমেরিকায় কিভাবে চাকুরিদাতারা হায়ার করে থাকেন", দ্বিতীয় পর্বে বলবো " অ্যামেরিকায় চাকুরী খোঁজার সবচেয়ে বেশি প্রচলিত জব সাইট, সাবজেক্ট ভিত্তিক প্রচলিত জব সাইট ইত্যাদি। তৃতীয় পর্বে বলব "জব সাইট ছাড়াও আপনি আর কোন কোন পদ্ধতিতে সহজে চাকুরীর জন্যে এপ্ল্যাই করতে পারেন, কোন ট্রিকস গুলি ফলো করলে অন্য আর দশটা এপ্লিক্যান্টের থেকে সহজে চাকুরী পেতে পারেন" আর চতুর্থ এবং শেষ পর্বে বলব "খুব ইমারজেন্সি (OPT গ্রেস পিরয়ড শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকুরী মিলছে না), সেই ক্ষেত্রে কিভাবে এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার সাবজেক্ট রিলেটেড চাকুরী ম্যানেজ করতে পারেন"।
আমার কর্ম আর অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এই আরটিক্যালটিতে অনেক বেশি অ্যাপ্লাইড সাইন্স আর লাইফ সাইন্সের চাকুরীর দিকে বেশি ফোকাস করেছি। সম্পূর্ণ আরটিক্যালটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত মাত্র।
আমার কর্ম আর অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এই আরটিক্যালটিতে অনেক বেশি অ্যাপ্লাইড সাইন্স আর লাইফ সাইন্সের চাকুরীর দিকে বেশি ফোকাস করেছি। সম্পূর্ণ আরটিক্যালটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত মাত্র।
অ্যামেরিকায় কিভাবে চাকুরিদাতারা হায়ার করে ?
- ইন্টারনাল রেফারেন্সের মাধ্যমে হারায়: ছোট-মাঝারি কোম্পানি গুলি এইভাবে বেশি হারার করে। কোম্পানির বর্তমান এমপ্লয়িদের মধ্যে জানিয়ে দেয় যে অমুক ডিপার্টমেন্টের ওই পোস্টের জন্যে চাকুরী প্রার্থী খুঁজছে, কারো কোন রেফারেল থাকলে হিউম্যান রিসোর্সের কাছে রিজুমে সবমিট করতে হবে।
- ক্যাম্পাস রিক্রুইটমেন্ট: এটা শুধু মাত্র এন্ট্রি লেভেল পোস্টের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, ক্যাম্পাস রিক্রুইটমেন্টের বড় সমস্যা, এক্সপেরিয়েন্সেড ক্যান্ডিডেট পাওয়া যায় না, ফলে এক্সপেরিয়েন্স ক্যান্ডিডেট কখনো ক্যাম্পাস রিক্রুইটমেন্টে হায়ার হয় না। আবার ক্যাম্পাস রিক্রুইটমেন্টের সারা বছর ধরে হয় না , February to May & September to November এর মধ্যে আমেরিকান ইউনিভারসিটিতে ক্যাম্পাস রিক্রুইটমেন্টের আয়োজন হয়।
- জব বোর্ড: এটাও আমাদের জন্যে বেশ নতুন একটা কনসেপ্ট কিন্তু অ্যামেরিকাতে খুব প্রচলিত। বিশেষ করে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। অনেক সময় চাকুরিদাতার বিশেষ কোন যোগ্যতা সম্পন্ন কিংবা নির্দিষ্ট কোন কাজে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালের স্নাতক পছন্দ করেন, সেই ক্ষেত্রে সেই চাকুরিদাতা সেই চাকুরির জন্যে ১/২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার জব বোর্ডে চাকুরির বিজ্ঞাপন নোটিস আকারে সেঁটে দেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অনুরোধ পাঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠান তার স্টুডেন্টদের ম্যাস ইমেইল পাঠান কিংবা জব বোর্ডে চাকুরির নোটিস সেঁটে দেন। এটিও অধিকাংশ সময় এন্ট্রি লেভেল পোস্টের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে
- ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার অফিস: আমরা বাংলাদেশিরা অনেকে হয়ত এই ধারনার সাথে পরিচিত না। এখানে প্রায় সব বড় ইউনিভারসিটি তে ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার অফিস থাকে , যারা প্রায় প্রতিদিন নিজেদের স্টুডেন্ট দের জন্যে লোকাল জব এর সার্চ করে চাকুরী দাতা আর চাকুরী প্রার্থী এর লিঙ্ক ব্রিজ করে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার এর একটা বিশাল প্লাস হচ্ছে এরা এলামনাই দের সাথে সব সময় keep-in-touch থাকে। প্রতি মাসে নিয়ম করে এদের কাছ থেকে এলামনাইরা ইমেইল পান about donating in their University(প্রাইভেট ইউনিভারসিটির ক্ষেত্রে বেশি হয়) অথবা to contribute for recent/upcoming graduating students. ফলে চাকুরীর পাওয়ার একটা ভালো উপায় হচ্ছে ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার অফিস।
- জব সাইট: ওপেন আর ফেয়ার রিক্রুইটিং যদি বলি তাহলে আমরা ইন্টারনেটের জব সাইটসমূহের কথা বলতে পারি। প্রায় অধিকাংশ চাকুরিদাতার প্রথম পছন্দ হচ্ছে জব সাইট। সহজে, কম খরছে, ঝামেলামুক্ত ভাবে অনেক যোগ্য প্রার্থীর নির্ভরযোগ্য সমাহার হচ্ছে জব সাইট। সুনির্দিষ্ট দক্ষতা সম্পন্ন , নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চাকুরীর জন্যে জব সাইট অনেক বেশি সহায়ক।
- স্টাফিং ফার্ম বা রিক্রুইটিং এজেন্সি: রেজুমে স্ক্রিনিং, জব ইন্টারভিউ, ব্যাকগ্রউন্ড চেক এই সব খুব ই সময়সাফেক্ষ আর নন-প্রডাক্টিভ। অনেক চাকুরিদাতা-ই এই সব ঝামেলা এড়িয়ে স্টাফিং ফার্ম বা রিক্রুইটিং এজেন্সিকে নির্দিষ্ট জব রিকুয়ারমেন্টস আর স্যালারি জানিয়ে দিয়ে এমপ্লয়ি হায়ার এর দায়িত্ব দিয়ে ঝামেলাহীন থেকে কোম্পানির প্রোডাক্টিভিটির দিকে মনোযোগী হতে চান। প্রায় অধিকাংশ শর্ট টার্ম কন্ট্রাক্ট জব, কিংবা সাময়িক প্রজেক্ট হায়ারের জন্যে স্টাফিং ফার্ম বা রিক্রুইটিং এজেন্সির কোন বিকল্প নেই। স্টাফিং ফার্ম বা রিক্রুইটিং এজেন্সির সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে স্যালারি কমিশান বা সার্ভিস পারসেন্টেজ, যা আপনার স্যালারি থেকে নির্দিষ্ট অংশ কেটে রাখে অথবা এক-কালীন সার্ভিস চার্জ নেয়।
No comments:
Post a Comment